প্রতিষ্ঠা কালঃ— ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দ।
প্রতিষ্ঠাতাঃ— দুই ভাই (সহদর) ভারত উপমহাদেশীয় বণিক।
নামঃ হীরা চাঁদ বোথরা এবং
অমর চাঁদ বোথরা।
ভারতীয় উপমহাদেশীয় (বণিক) দুই ভাই আমাদের এই প্রদেশে ব্যবসা করতে এসে এই অঞ্চলের নারী শিক্ষার বিষয়টি তাদের গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে। তৎকালীন রংপুর মহকুমার চিলমারী নদী বন্দর অঞ্চলটি ব্যবসার প্রানকেন্দ্র ছিল। দেশি—বিদেশি জাহাজ এই বন্দরে ভিড়ত। ব্যবসার সুবাদে চিলমারী অঞ্চলে বাস করতেন এই দুই সহোদর। পুরুষদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ছিলনা নারী শিক্ষার সুযোগ তাই তারা চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায় টিন, বাঁশ কাঠ দ্বারা নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি নামকরণ করেন চিলমারী নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। এরপর ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর পাকিস্থান সরকারের হাতে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বভার। শুরু হয় এই অঞ্চলের নারীদের শিক্ষার পথচলা এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে বার বার ভাঙ্গানে স্থানান্তরিত হতে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা আগুন ধরিয়ে দেয় পুড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আসবাবপত্র। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেন। পুনঃরায় মাথা উচু করে দাড়াতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। আবারও ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গানের স্বীকার হয়। নদী ভাঙ্গানের কারণে কার্যক্রম থেমে থাকেনি। অস্থায়ী জায়গায় দ্বার করিয়েও চলতে থাকে নারী শিক্ষার কার্যক্রম। ঐতিহ্যবাহী নদী বন্দর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় অবশেষে চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়ের পানাতিপাড়া নামক স্থানে প্রতিষ্ঠানটি দ্বার করানো হয়। এখানেও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয় প্রতিষ্ঠানটি। তারপর একই ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজার নামক এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও নদী ভাঙ্গনের স্বীকার প্রতিষ্ঠানটি। অবশেষে ১৯৯৬ সালে চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজাথানা নামক এলাকায়, এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পায় প্রতিষ্ঠানটি এবং স্থায়ীভাবে মাথা উচু করে নারী শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ০.৭৬ একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
Copyright © চিলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
Design & Developed by : Atomsoft